আজকের বিষয় : যে কারণে শিশুদের বই পড়া গুরুত্বপূর্ণ। অনেক মা-বাবা তাদের সন্তানের বই পড়াকে তেমন গুরুত্ব দেন না। অনেকেই ভাবেন বয়স বাড়লেই সন্তান বই পড়বে।
কিন্তু এমন ভাবনা ঠিক নয়। শিশুকে দিনে অন্তত ১৫ মিনিট বই পড়ে শোনানো উচিত। এতে শিশুরা মানসিকভাবে শক্ত হয়ে ওঠে।
এ ছাড়া বই পড়ায় উৎসাহ দিতে প্রতি বছর ২৫ মার্চ বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ‘রিডিং ডে’৷
শিশুদের জন্য বই পড়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?
শিশুদের মনোবল বাড়ায়
শিশু সন্তানকে রাতে কিংবা দিনে বিছানায় নিয়ে বই পড়ে শোনানোর পর শিশুটি যখন ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়ে—
সেই সুন্দর দৃশ্যের অনুভূতি প্রতিটি মা-বাবার জন্যই আনন্দের৷
তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি, আজকাল অনেক পরিবারে এমনটা দেখা যায় না৷
শিশুরা বই পড়লে বা কেউ পড়ে শোনালে শিশুদের সিদ্ধান্ত নেয়ার মনোবল বাড়ে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
১৫ মিনিটই যথেষ্ট
বেশ কয়েকটি জরিপ থেকে জানা যায়, উন্নত দেশগুলোতে তিন বছর বয়স পর্যন্ত শতকরা মাত্র ২৮ ভাগ শিশুকে বই পড়ে শোনানো হয়।
শিশুর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য দিনে মাত্র ১৫ মিনিট সময়ই যথেষ্ট বলে মনে করেন জার্মান শিশু বিশেষজ্ঞ লুকাস হেইমান।
অনভূতির আদান-প্রদান
শিশুকে সাথে নিয়ে বই পড়ে শোনালে সে প্রয়োজনীয় বইগুলো সহজে পড়তে পারে।
বই পড়ার অভ্যাসের কারণে শিশুর অন্যদের সাথে অনুভূতির আদান-প্রদানও সহজ হয়।
১০ মাস বয়সেই থেকেই বই
মাত্র ১০ মাস বয়সেই শিশুর হাতে কাপড়ের তৈরি ছবির বই দিয়ে দিন।
তার পর ধীরে ধীরে বয়স অনুযায়ী অন্যান্য রূপকথা বা পশু-পাখি কিংবা শিশুর উপযোগী যে কোনো বই দিন এবং শিশুকে সাথে নিয়ে বই কিনুন।
বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই
আপনার শিশুর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন৷ বই খুলে দেয় মানুষের মনের জানালা আর দৃষ্টিকে করে প্রসারিত৷
বই হাতে নিয়ে পড়ার আনন্দের সাথে ‘ই-বুক’-এর কোনো তুলনা নেই৷
হাতে বই নিয়ে বইকে অনুভব করা যায়৷ বুক শেলফে রাখা বই দেখা যায়, দেখে বারবার পড়া যায়৷
তাই জ্ঞানের ভাণ্ডার ও ব্যক্তিত্বকে সমৃদ্ধ করতে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই৷
শিশুর আগ্রহকে গুরুত্ব দিন
কোনো শিশু যদি একই বইয়ের গল্প বারবার শুনতে চায়—এতে মা-বাবা বিরক্ত হবার কিছু নেই, বরং এই আগ্রহকে শিশুর জন্য ইতিবাচক বলেই মনে করেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।
—ডেস্ক পেরেন্টিং