কথাতেই আছে, জলখাবার হোক রাজার মতো! সে জন্য মেদ ঝরাতে বিশেষ জলখাবার হোক সময়মতো। কিন্তু রাজার মতো খাবারগুলো আসলে কী, তা নিয়েই চিন্তায় কপাল ভাঁজ ফেলে দিই আমরা।
রাজার মতো মানে কিন্তু ৩৬ রকম পদ-সহযোগে প্রাতরাশ সারা নয়! রাজার মতো অর্থ—সাতসকালে পুষ্টিকর-সুষম খাবারে পেট ভরানো।
এই খাবারই সারাদিনের কাজকর্মের জন্য শক্তি জোগাবে শরীরে। ভরা থাকবে পেট, ফুরফুরে থাকবে মন! তা হলে বুঝতেই পারছেন, জলখাবার ঠিক কতটা জরুরি।
জরুরি সে-কথা মানলাম, কিন্তু জানেন কি, জলখাবার খাওয়ারও কিছু নিয়ম-কানুন আছে। আর এই নিয়ম মেনে জলখাবার খাওয়ার অভ্যাস নানা ভাবে কাজে আসতে পারে আপনার ও আপনার পরিবারের।
আপনি যদি নতুন মা হন, এবং বাড়তি মেদ নিয়ে বাড়তি চিন্তায় উদ্বিগ্ন থাকেন, তবে ঠিকঠাক ভাবে জলখাবার খাওয়ার অভ্যাসই চটজলদি মেদ ঝরানোর উদ্যোগে আপনার সাহায্য করতে পারে।
৫টি দরকারি টিপস
১. খাদ্যপিরামিড মেনে চলুন
সকালের প্রথম খাওয়াটাই হতে হবে সবচেয়ে ভারী। তাই তা বাদ দেওয়া বা ছোটখাটো খাবারে পেট ভরানোর অভ্যাস সবার আগে ছাড়ুন। সারারাত খালি পেটের পর ব্রেকফাস্ট বাদ গেলেও, হু হু করে মেদ বাড়ে।
২. চা-কফি নয়
ব্রেকফাস্টে চা-কফিতে ক্যাফিনে আসক্তি বাড়ে। তার চেয়ে ব্রেকফাস্টের তালিকায় গোটা ফল রাখুন। ফলের রস যেন প্যাকেটজাত না হয়। বাড়িতেই রস বানিয়ে তা সঙ্গে সঙ্গে খান। ও হ্যাঁ, চিনি মেশাতে যাবেন না যেন।
৩. দানাশস্য রাখুন
ওটস, মিলেট, মুসলি ইত্যাদি রাখুন মূল খাবার হিসাবে। স্বাদ বদলাতে ইডলি হতে পারে ভালো বিকল্প।
ইডলির গ্লাইসেমিক রেট কম হওয়ায় তা তাড়াতাড়ি ফ্যাটকে এনার্জিতে পরিণত করে ফেলতে পারে।
৪. ওমলেট বা পোচ নয়
সঙ্গে রাখুন সেদ্ধ ডিম, এতে তেল এড়ানো সম্ভব হবে। মাঝে মাঝে পোচ খেতে ইচ্ছে করলে—তা একেবারে নামমাত্র তেলে বানান।
আর হ্যাঁ, কুসুম ফেলে দেবেন না যেন। গোটা ডিমই পাতে রাখুন নির্দ্ধিধায়!
৫. এক জায়গায় বসে খান
হাজারটা কাজের মাঝে জলখাবারটা সারি আমরা। নাকে-মুখে গুঁজেই চলতে থাকে নানা দায়-দায়িত্ব।
এই অভ্যাস বন্ধ করুন এখনি। এক জায়গায় বসে জলখাবার খান, শরীর-মনকে একটু অবসর দিন।
—ডেস্ক পেরেন্টিং