ভ্রমণে শিশুর প্রস্তুতি নিয়ে আজকের আলোচনা। অনেক মা আছেন, যাঁরা না-বুঝে বেশি আঁটসাঁট কাপড় পরিয়ে বাচ্চাদের ভ্রমণে নিয়ে যান। এতে অনেক সময় বাচ্চাদের বমি হয়, তাদের অস্থির লাগে আর কান্নাকাটি করে।
আবার, বাচ্চা তো ছোট, তাই কোথাও ঘুরতে যেতে পারি না।
ও একটু বড় হলে তখন ঘোরাঘুরি করব—এমন কথা অনেক বাবা-মায়ের মুখেই শোনা যায়।
শিশুদের সঠিক সময়ে খাওয়া, খেলা, ঘুম—সবকিছুর ওপর কড়া নজর রাখতে হয় মা-বাবার, হতে হয় একটু বেশিই যত্নবান।
কিন্তু অতিরিক্ত এ যত্ন ও সতর্কতার জন্য অনেক সময়ই তাঁরা—তাঁদের শিশুকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে চান না।
বিশেষত, শূন্য থেকে চার বছরের বাচ্চাদের নিয়ে একটু দূরে কোথাও বেড়িয়ে আসার চিন্তাও করেন না তাঁরা।
কিন্তু কিছু ছোট ছোট উদ্যোগ নিলেই আপনার ছোট্ট সোনামণিকে নিয়ে আপনি বেড়িয়ে আসতে পারেন ইচ্ছেমতো জায়গায়।
অনেক মাকেই মাঝেমধ্যেই দেশে এবং দেশের বাইরে যেতে হয়।
ছোট্ট শিশু, বিশেষত চার বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের নিয়ে ভ্রমণের বেলায় তাদের পরামর্শ :
বাচ্চাদের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভ্রমণটা যেন তাদের জন্য আরামদায়ক হয়।
ঠিক সময় খাওয়ানো আর ঘুমের দিকে খেয়াল রাখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে খুব ঢিলেঢালা কাপড় পরাতে হবে।
অনেক মা আছেন, যাঁরা না-বুঝে বেশি আঁটসাঁট কাপড় পরিয়ে বাচ্চাদের ভ্রমণে নিয়ে যান।
এতে অনেক সময় বাচ্চাদের বমি হয়, তাদের অস্থির লাগে আর কান্নাকাটি করে।
শিশুবিশেষজ্ঞ ডা. তাহমিনা বেগম জানালেন—ভ্রমণের আগে যে জায়গায় যেতে চান, সেখানকার আবহাওয়া সম্পর্কে জেনে নিন।
সে অনুযায়ী শিশুর জামাকাপড় নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বললেন, খেয়াল রাখতে হবে যেন আঁটসাঁট পোশাক না হয়। এ ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
যেমন—যে কোনো সময় যেন ডায়াপার বদলানো যায়, বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় যেন কোনো সমস্যা না হয় এবং ঘুমানোর সময় জামাকাপড়ের জন্য বাচ্চা যেন অস্বস্তিবোধ না-করে।
ডা. তাহমিনার আরো কিছু পরামর্শ
- ভ্রমণের সময় জানালার পাশের আসনে বসার চেষ্টা করবেন। অনেক সময় শিশুরা ট্রেনে, বাসে বা বিমানে বেশি মানুষ দেখে ঘাবড়ে যায়, তখন তাকে জানালার বাইরে বিভিন্ন জিনিস দেখিয়ে শান্ত করা যায়।
- কোন কোন খাবারে শিশুর অ্যালার্জি রয়েছে, তার তালিকা সঙ্গে রাখা উচিত। সর্দির জন্য নাকের ড্রপ, গ্যাস্ট্রিকের জন্য ওষুধ, খাবার স্যালাইন এবং অ্যান্টি-ভমিটিং ওষুধ সঙ্গে রাখতে হবে।
- বিমান উড্ডয়ন বা অবতরণের সময় শিশুদের কান বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং একটু শ্বাসকষ্ট হতে পারে। উড্ডয়নের কিছু সময় আগে খাইয়ে যদি হালকাভাবে পিঠ চাপড়ে ঢেঁকুর তোলানো যায়, তবে বাচ্চাদের এমন সমস্যা হবে না।
- শিশুর পছন্দের কিছু খেলনা নেওয়া, আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলানো ইত্যাদি কাজ করলে শিশুরা বিরক্ত ও কান্নাকাটি করে না। এতে করে আনন্দের সঙ্গে ভ্রমণটা উপভোগ করা যায়।
—নাজিয়া শারমিন। সম্পাদনা : ডেস্ক পেরেন্টিং