travel with a small child

ছোট শিশুকে নিয়ে ভ্রমণে যা দরকার

ছোট শিশুকে নিয়ে ভ্রমণে যা দরকার—আজকের আলোচনা সেসব নিয়েই। আপনার খুব বেড়াতে ইচ্ছে করছে। অনেক দূরে নিরিবিলি জায়গায় সময় কাটাতে ইচ্ছে করছে।

কিংবা পারিবারিক প্রয়োজনে এক শহর থেকে আরেক শহরে ভ্রমণ করা দরকার। কিন্তু ভ্রমণের সাহস করতে পারছেন না। কারণ, আপনার সন্তান এখনো ছোট।

অনেকেই মনে করেন—সন্তান ছোট থাকলে ভ্রমণ করা যায় না। এটা ভুল ধারণা। ছোট শিশুকে নিয়ে অনায়াসেই ভ্রমণ করা সম্ভব।

তবে, যেহেতু ক্ষুদে সদস্য সাথে যাবে, তাই প্রয়োজন বাড়তি কিছু সতর্কতার। জেনে নিন ছোট শিশুকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার বিষয়ে কিছু টিপস।

আগেই টিকেট করে ফেলুন

বাস হোক কিংবা রেল অথবা প্লেন, ছোট শিশুদের নিয়ে ভ্রমণের জন্য সবসময় সামনের দিকের জানালার পাশের আসন নির্বাচন করুন।

পছন্দসই আসন পেতে হলে একটু আগেই কেটে ফেলুন টিকেট। এতে নির্ঝঞ্ঝাট এবং আরামদায়ক ভ্রমণ করতে পারবেন আপনি।

ব্যাগ গুছিয়ে নিন

সন্তান জন্মের আগে ভ্রমণের সময় অল্প কটা জামা আর কিছু প্রসাধনী নিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে ফেলা যেত। কিন্তু ছোট শিশুকে নিয়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাড়তি অনেক কিছু ব্যাগে বহন করতে হবে।

শিশুর প্রয়োজনীয় সবকিছু ব্যাগে যত্ন করে গুছিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি ছাতাও নিতে ভুলবেন না যেন।

আরামদায়ক পোশাক নির্বাচন

ছোট শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখুন—পোশাক নির্বাচনের বিষয়টি। আপনি এবং আপনার সন্তান দুজনেই আরামদায়ক সুতির পোশাক পরুন।

সন্তানের জন্য খুব সহজেই পরিবর্তনযোগ্য এবং জুতা-মোজা না-খুলেই ডায়াপার বদলে দেয়া যায় এমন পোশাক সঙ্গে রাখুন।

কিছু খেলনা হাত ব্যাগে রাখুন

ভ্রমণের সময় আপনার হাত ব্যাগে শিশুর পছন্দের কয়েকটি খেলনা রাখুন। হঠাৎ কেঁদে উঠলে এই খেলনাগুলোই তার কান্না থামাতে সাহায্য করবে।

এ ছাড়া ভ্রমণের সময় শিশুকে সময় দিন। তার সাথে কথা বলুন, হাসুন। শিশুকে ব্যস্ত রাখলে সে না-কেঁদে হাসিখুশি থাকবে।

ক্যারিয়ার ব্যবহার করুন

এয়ারপোর্টের ব্যস্ততায় কিংবা ট্রেন স্টেশনের ভিড়ের মাঝে লাগেজ এবং সন্তান একসাথে সামলাতে সমস্যা হতে পারে।

তাই সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার আগে একটি ক্যারিয়ার কিনে ফেলুন।

আরামদায়ক এবং মজবুত ক্যারিয়ারে সন্তানকে বহন করলে ভ্রমণ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

উড়োজাহাজে বাতাসের চাপ

উড়োজাহাজে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনেক সময় বাতাসের চাপে কান ব্যথা করে। এমন পরিস্থিতিতে সন্তানের অস্বস্তিবোধ হয় এবং কাঁদার আশঙ্কা থাকে।

এই সময়ে স্তন্যপান করালে শিশুর কানে বাতাসের চাপ কম অনুভূত হবে।

নুসরাত শারমিন। সম্পাদনা : ডেস্ক পেরেন্টিং। সৌজন্যে: ফেমিনা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published.