দুধের শিশুর দুধের দাঁতের যত্ন! দাঁতের সঙ্গে মাড়িরও যত্ন!কীভাবে নেবেন? আজকে থাকছে বিশদ আলোচনা ও পরামর্শ।
দেখবেন হয়তো বেশ কয়েকদিন ধরেই বড্ড উসখুস করছে ছোট্ট সোনামণি। মাড়ি কিসকিস করতে করতে আচমকা প্যাঁ করে কান্না, তার পর একটু আধটু গা গরম, পেট গোলমাল ইত্যাদি ইত্যাদি জ্বালা-যন্ত্রণার পরে একটা মিষ্টি সকালে একটা মিষ্টি সাদা দাঁত উঁকি দিল।
কোথায়? আপনার ফোকলা সুন্দর বা সুন্দরীর মুখের ভেতর। এই যে শিশুর প্রথম দুধে দাঁতটি উঁকি দিল, এবং বাকি সাঙ্গোপাঙ্গরাও একে একে আসবে, এদের তো সত্যিকারের যত্ন-আত্তি বিশেষ প্রয়োজন।
জন্মের পর থেকেই শিশুর মাড়ির যত্ন নিতে হয়, এবার প্রয়োজন আরো সতর্ক হওয়ার। কারণ, এই ছোট্টবেলার যত্ন ও অভ্যাসের ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতের দাঁতের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য নির্ভরশীল।
শিশুর দাঁত ও মাড়ির সঠিক যত্নের আদ্যোপান্ত
১. পরিচ্ছন্নতার পাঠ প্রথম থেকেই
একদম পুঁচকে বেলা থেকেই নরম কাপড় আঙুলে জড়িয়ে পরিষ্কার করুন ছোট্ট সোনার মাড়ি, জিভ। প্রথম দুধের দাঁত উঁকি দিলে শুরু করে দিন ব্রাশ করানোর পালা।
২. ব্যবহার করুন ফ্লোরাইড-যুক্ত টুথপেস্ট
ফ্লোরাইড দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। ২ বছর পেরোলে দিনে দু’বার চালের দানার মতো টুথপেস্ট নিয়ে ব্রাশ করিয়ে দিন।
একটু বড় হলে মটরশুঁটির দানার মতো পেস্ট নিতে পারেন। ব্রাশ করাতে শিশুর স্পেশাল টুথব্রাশই ব্যবহার করুন।
৩. মিঠে খাবার কত খাচ্ছে, নজর রাখুন
ক্যান্ডি, ললিপপ, কুকিজ এসবের থেকে ক্ষয় হতে পারে দাঁতের। এগুলো খাওয়ার নেশা ধরাবেন না, ধরলেও ছাড়ানোর চেষ্টা করুন।
মুখের গ্রাস শেষ করেই জিভ দিয়ে দাঁত পুছে ফেলতে শেখান সোনামণিকে।
৪. যত্ন করে দাঁত মাজিয়ে দিন
কচিকাঁচারা তো বটেই বছর ৩-৪ অবধিও আপনার সোনামণিকে নিজের হাত ব্রাশ ধরে ব্রাশ করতে পারবে না।
যতদিন না পুরো প্রক্রিয়া ও আয়ত্ত করছে, ততদিন ওর দাঁতের খেয়াল রাখার দায়িত্ব আপনার।
৫. দাঁতের ডাক্তার দেখান ১ বছরের আগেই
১ বছর হওয়ার আগেই দাঁতের ডাক্তার দেখিয়ে নিন একবার। শিশুর দুধের দাঁতে কোনো ক্ষয় হচ্ছে কি-না, যাচাই করতে পারবেন ডাক্তার। সেই সাথে নিশ্চিত করা যাবে দুধের দাঁতের স্বাস্থ্যও!
—ডেস্ক পেরেন্টিং